সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ওপেন নিউজ ২৪

দলীয় রাজনীতিতে অর্থের প্রভাব ও নিরপেক্ষতার সংকট: অরাজকতার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন সচেতন মহল

দলীয় রাজনীতিতে অর্থের প্রভাব ও নিরপেক্ষতার সংকট: অরাজকতার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন সচেতন মহল
সৌদি প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ১০১ টিম : চিএ

দলীয় রাজনীতিতে অর্থের প্রভাব ও নিরপেক্ষতার সংকট: অরাজকতার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন সচেতন মহল।


স্টক রিপোর্টার  : মো: লিটন সিকদার 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সাম্প্রতিক সময়ে অর্থ, ব্যক্তিস্বার্থ ও ভাইরাল–কেন্দ্রিক কর্মকাণ্ডের প্রভাব বাড়ছে—এমন অভিযোগ তুলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সচেতন নাগরিকরা। তাঁদের মতে, আদর্শভিত্তিক রাজনীতির জায়গা দখল করছে সুবিধাবাদী রাজনীতি, যেখানে পদ-পদবি ও মনোনয়নের বিনিময়ে লেনদেনের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।

এ পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত সৌদি প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ১০১ টিম মানবতার সংঘটন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের রাজনীতি যদি আদর্শহীনতা, অর্থ ও ব্যক্তিস্বার্থের কাছে বন্দি হয়ে পড়ে, তবে এর প্রভাব শুধু দেশের ভেতরেই নয়—বিদেশে অবস্থানরত কোটি কোটি প্রবাসীর মাঝেও হতাশা তৈরি করবে।

বিশ্লেষকদের বক্তব্য, আগে রাজনীতি ছিল জনস্বার্থ, আদর্শ ও সংগ্রামের জায়গা; এখন তা অনেক ক্ষেত্রে দলীয় স্বার্থে “বিক্রয়যোগ্য পণ্যে” পরিণত হচ্ছে। অভিযোগ উঠছে—কিছু এমপি ও মন্ত্রী পদপ্রত্যাশী ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে নিজেকে বিক্রি করছেন, যার ফলে দলীয় কাঠামো দুর্বল হচ্ছে এবং মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে দল ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া—উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা যায়, রাজনৈতিক মাঠে উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে। প্রতিহিংসা ও অহংকারের রাজনীতি দিয়ে টেকসই জয় সম্ভব নয়—এমন মত দিয়ে বিশ্লেষকরা বলেন, সংঘাতমুখী ভাষা ও আচরণ সামাজিক বিভাজন বাড়ায় এবং অরাজকতার ঝুঁকি তৈরি করে।

এ প্রেক্ষাপটে গণপরিষদের ভিপি নুর ও এনসিপির কয়েকজন নেতার পদত্যাগের ঘটনাও আলোচনায় এসেছে। সমালোচকদের মতে, নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি হলে তা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মব–মানসিকতা উসকে দিতে পারে। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন—কিছু ব্যক্তি রাজনীতিকে নয়, বরং ভাইরাল হওয়ার উপযোগী নাটকীয় কর্মকাণ্ডকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, যা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য ক্ষতিকর।

সচেতন মহলের আরেকটি বড় দাবি—প্রশাসন ও গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে রাজনীতি সুন্দর ও স্থিতিশীল হতে পারে না। নিরপেক্ষ প্রশাসন ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ—এ কথা জোর দিয়ে বলা হচ্ছে।

এদিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে তরুণ নেতৃত্ব নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিশেষ করে হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস ও সজিব নাহিদের মতো তরুণরা সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে একধরনের রাজনৈতিক অনাথত্বের মুখে পড়েছেন—যা ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বিকাশের জন্য ইতিবাচক নয়।

সবশেষে সৌদি প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ১০১ টিম মানবতার সংঘটনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়—দেশের স্বার্থে বিভাজনমূলক ও সুবিধাবাদী রাজনীতি পরিহার করে আদর্শ, সততা ও জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোর। তাঁদের মতে, প্রশাসন ও গণমাধ্যম নিরপেক্ষ থাকলেই কেবল বাংলাদেশের রাজনীতি আবারও সুন্দর, গণতান্ত্রিক ও জনবান্ধব হয়ে উঠতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন

ওপেন নিউজ ২৪

সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫


দলীয় রাজনীতিতে অর্থের প্রভাব ও নিরপেক্ষতার সংকট: অরাজকতার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন সচেতন মহল

প্রকাশের তারিখ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

featured Image
দলীয় রাজনীতিতে অর্থের প্রভাব ও নিরপেক্ষতার সংকট: অরাজকতার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন সচেতন মহল।স্টক রিপোর্টার  : মো: লিটন সিকদার বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সাম্প্রতিক সময়ে অর্থ, ব্যক্তিস্বার্থ ও ভাইরাল–কেন্দ্রিক কর্মকাণ্ডের প্রভাব বাড়ছে—এমন অভিযোগ তুলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সচেতন নাগরিকরা। তাঁদের মতে, আদর্শভিত্তিক রাজনীতির জায়গা দখল করছে সুবিধাবাদী রাজনীতি, যেখানে পদ-পদবি ও মনোনয়নের বিনিময়ে লেনদেনের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।এ পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত সৌদি প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ১০১ টিম মানবতার সংঘটন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের রাজনীতি যদি আদর্শহীনতা, অর্থ ও ব্যক্তিস্বার্থের কাছে বন্দি হয়ে পড়ে, তবে এর প্রভাব শুধু দেশের ভেতরেই নয়—বিদেশে অবস্থানরত কোটি কোটি প্রবাসীর মাঝেও হতাশা তৈরি করবে।বিশ্লেষকদের বক্তব্য, আগে রাজনীতি ছিল জনস্বার্থ, আদর্শ ও সংগ্রামের জায়গা; এখন তা অনেক ক্ষেত্রে দলীয় স্বার্থে “বিক্রয়যোগ্য পণ্যে” পরিণত হচ্ছে। অভিযোগ উঠছে—কিছু এমপি ও মন্ত্রী পদপ্রত্যাশী ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে নিজেকে বিক্রি করছেন, যার ফলে দলীয় কাঠামো দুর্বল হচ্ছে এবং মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে দল ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া—উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা যায়, রাজনৈতিক মাঠে উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে। প্রতিহিংসা ও অহংকারের রাজনীতি দিয়ে টেকসই জয় সম্ভব নয়—এমন মত দিয়ে বিশ্লেষকরা বলেন, সংঘাতমুখী ভাষা ও আচরণ সামাজিক বিভাজন বাড়ায় এবং অরাজকতার ঝুঁকি তৈরি করে।এ প্রেক্ষাপটে গণপরিষদের ভিপি নুর ও এনসিপির কয়েকজন নেতার পদত্যাগের ঘটনাও আলোচনায় এসেছে। সমালোচকদের মতে, নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি হলে তা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মব–মানসিকতা উসকে দিতে পারে। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন—কিছু ব্যক্তি রাজনীতিকে নয়, বরং ভাইরাল হওয়ার উপযোগী নাটকীয় কর্মকাণ্ডকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, যা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য ক্ষতিকর।সচেতন মহলের আরেকটি বড় দাবি—প্রশাসন ও গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে রাজনীতি সুন্দর ও স্থিতিশীল হতে পারে না। নিরপেক্ষ প্রশাসন ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ—এ কথা জোর দিয়ে বলা হচ্ছে।এদিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে তরুণ নেতৃত্ব নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিশেষ করে হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস ও সজিব নাহিদের মতো তরুণরা সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে একধরনের রাজনৈতিক অনাথত্বের মুখে পড়েছেন—যা ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বিকাশের জন্য ইতিবাচক নয়।সবশেষে সৌদি প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ১০১ টিম মানবতার সংঘটনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়—দেশের স্বার্থে বিভাজনমূলক ও সুবিধাবাদী রাজনীতি পরিহার করে আদর্শ, সততা ও জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোর। তাঁদের মতে, প্রশাসন ও গণমাধ্যম নিরপেক্ষ থাকলেই কেবল বাংলাদেশের রাজনীতি আবারও সুন্দর, গণতান্ত্রিক ও জনবান্ধব হয়ে উঠতে পারে।

ওপেন নিউজ ২৪

সম্পাদক ও প্রকাশক ঃ মোস্তফা কামাল 

কপিরাইট © ২০২৫ ওপেন নিউজ ২৪ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত