বিশ্ব উরস শরীফ সফল করতে ছাত্রসমাজের ঐক্যের আহ্বান
রংপুরে জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের দাওয়াতী মিশন ও বর্ণাঢ্য র্যালি
আসন্ন ২০২৬ সালের মহাপবিত্র বিশ্ব ইসলামী সম্মেলন (বিশ্ব উরস শরীফ) সফল করার লক্ষ্যে রংপুরে দাওয়াতী মিশন সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্ট, রংপুর সাংগঠনিক বিভাগ–১ এর উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে নগরজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দাওয়াতী মিশন উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে অংশগ্রহণকারী ছাত্রনেতা ও কর্মীরা ‘জাকের পার্টি জিন্দাবাদ’, ‘বিশ্ব উরস শরীফ সফল হোক’—সহ বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলে। এ সময় তাদের হাতে গোলাপ ফুল, বর্ণিল ব্যানার ও ফেস্টুন শোভা পায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি ড. সায়েম আমির ফয়সাল। তিনি বলেন, জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্ট কেবল একটি রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এটি আদর্শিক ও নৈতিক মানুষ গড়ার একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। বিশ্ব উরস শরীফ বিশ্বশান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও আধ্যাত্মিক পুনর্জাগরণের মহামিলন। ছাত্রসমাজকে মাদক, সন্ত্রাস ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে রেখে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষায় গড়ে তুলে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ইনশাআল্লাহ ২০২৬ সালের বিশ্ব উরস শরীফ হবে ভালোবাসা, মানবতা ও শান্তির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। বিশেষ বক্তারা বলেন, আটরশির বিশ্ব উরস শরীফের দাওয়াত আজ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এবং ড. সায়েম আমির ফয়সালের নেতৃত্বে ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। তারা আরও বলেন, ছাত্ররাই পারে একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক ও আধ্যাত্মিক সমাজ বিনির্মাণ করতে। রংপুরের মাটি ও মানুষ অতীতেও জাকের পার্টির পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। দাওয়াতী মিশন সভায় সভাপতিত্ব করেন জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্ট, রংপুর সাংগঠনিক বিভাগ–১ এর সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, রংপুরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় নিয়মিত দাওয়াতী মিশন পরিচালনা করা হচ্ছে এবং আসন্ন বিশ্ব ইসলামী সম্মেলন সফল করতে ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীরা জানপ্রাণ দিয়ে মাঠে কাজ করে যাবে। অনুষ্ঠানে জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। র্যালি শেষে শাপলা চত্বর এলাকায় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

আপনার মতামত লিখুন