পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানাধীন এলাকায় জোরপূর্বক ছেলেদের তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তর, চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে লতা হিজড়া নামে তৃতীয় লিঙ্গের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘ এক যুগ ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে তিনি মহিপুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে অসদাচরণ এবং বিয়েবাড়িতে গিয়ে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছেন
অভিযোগকারীরা জানান, চাঁদাবাজি থেকে আদায়কৃত অর্থের বড় একটি অংশ লতা হিজড়া নিজে রাখতেন। এসব অর্থের মাধ্যমে তিনি অর্ধকোটি টাকার বেশি মূল্যের জমি ক্রয় এবং কয়েক লাখ টাকা ব্যয়ে বসতঘর নির্মাণ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।সম্প্রতি নুরজামাল নামের এক যুবককে মারধরের ঘটনায় এসব অভিযোগ নতুন করে সামনে আসে। ভুক্তভোগী নুরজামালের দাবি, অর্থের লোভ দেখিয়ে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং তার নাম রাখা হয় ‘মেঘলা’। দীর্ঘদিন তাকে বিভিন্ন স্থানে চাঁদা তুলতে বাধ্য করা হয়। উত্তোলিত টাকার ৬০ শতাংশ লতা হিজড়া নিতেন এবং বাকি ৪০ শতাংশ অন্য সদস্যদের মধ্যে বণ্টন করা হতো। দল ছাড়তে চাইলে তাকে মারধর করা হয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগীর স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে তারা মহিপুর থানার সামনে লতা হিজড়ার বাসায় গিয়ে নুরজামালকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানালে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় লতা হিজড়ার লোকজন নুরজামালকে মারধর করে বলে অভিযোগ।

রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

আপনার মতামত লিখুন