পাবনায় কুকুরছানা হত্যার বিচারে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হলো । সন্তানহারা কুকুর চারটি সন্তান দত্তক পেলো। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ফলাও ভাবে সংবাদ প্রকাশিত হলো। কিন্তু মায়ের সঙ্গে দুই বছরের শিশু সন্তান জেলে গেল । এখন প্রশ্ন হল শিশুটির কি অপরাধ কেন দুধের শিশু জেল হাজতে । বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহল ও মিডিয়াপাড়ায় আলোচনা ও সমালোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে । পাবনা ঈশ্বরদী উপজেলা ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে থাকা ‘টম’ নামের কুকুরটির ৮টি বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর। গত সোমবার হঠাৎ ছানাগুলো নিখোঁজ হয়। পরে জানা যায়, রোববার রাতে নিশি রহমান ছানাগুলোকে ব্যাগে ভরে উপজেলা পুকুরের পাশে ফেলে আসেন। পরদিন তাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা পারভীনের নির্দেশে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৪২৯ ধারায় একটি মামলা করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত নারী নিশি রহমানকে গ্রেফতার করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ । বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ নিশিকে আমলী আদালতে হাজির করলে বিচারক তরিকুল ইসলাম তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হলে দেখা যায় তার কোলে ছোট্ট ২ বছরের শিশু সন্তান সঙ্গেই রয়েছে। এ দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অভিযুক্তের স্বামী, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়ন জানান, তিন সন্তানের মধ্যে ছোট ছেলেটিই মায়ের সঙ্গে কারাগারে আছে। স্থানীয় সমাজ সেবক রঞ্জন সরকার বলেন, কুকুরছানা হত্যার মতো নৃশংস অপরাধের পর শিশুকে নিয়ে কারাগারে যাওয়া মানবিক প্রশ্ন তৈরি করেছে। এটি হয়তো জনমতের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা হতে পারে।

রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

আপনার মতামত লিখুন