ওপেন নিউজ ২৪

হাজারীবাগের বুকজুড়ে আজও বেঁচে আছে একটি নাম—খলিল সরদার।

হাজারীবাগের বুকজুড়ে আজও বেঁচে আছে একটি নাম—খলিল সরদার।
খলিল সরদার পরিবারের উত্তরসূরি আজ সেবার অঙ্গীকারে

হাজারীবাগের বুকজুড়ে আজও বেঁচে আছে এক নাম—খলিল সরদার। 

কখনও কোনো নেতা, কোনো প্রতিনিধি, কোনো ক্ষমতাধর নয়—হাজারীবাগ তাঁকে চিনত নিজ মানুষের মতো।

যিনি মসজিদের ইমাম থেকে গরিব রিকশাওয়ালা—সবাইকে নাম ধরে চিনতেন, পাশে দাঁড়াতেন—তিনি খলিল সরদার।হাজারীবাগের এক প্রবীণ বৃদ্ধ আজও চোখের কোনায় পানি এনে বলেন— 

“বাবা, তোমার দাদা ছিলেন এমন মানুষ—যে কারো ঘরে রাতের খাবার নাই শুনলে নিজের হাতের ভাত নিজে না খেয়ে অন্যকে খাইয়ে দিতেন…”রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে বসা এক অটোরিকশা চালক যোগ করেন— “সরদার সাহেব ছিলেন নেতা না—নিজের মানুষ। রাত ২টা হলেও দরজায় কড়া নিলে বলতেন, ‘সমস্যা কী, বাবা?’—এমন নেতা আর জন্মাবে?”

এই মানুষটির পরিচয়ে হাজারীবাগ বদলে গেছে। তিনি ছিলেন সরদার, তারপর চেয়ারম্যান—কিন্তু ক্ষমতার চেয়ারে বসে নয়, মানুষের হৃদয়ে বসে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

হাজারীবাগে হাসপাতালের জায়গা দান, প্রথম পানি ট্যাংক স্থাপন, স্কুল-মন্দির-মসজিদ-কলেজ নির্মাণ, সিটি কলোনি গড়ে তোলা—এগুলো কেবল উন্নয়ন নয়, মানুষের প্রাণভরা সেবা।

যেদিন তিনি মারা গেলেন—হাজারীবাগে শুধু পতাকা নামেনি… মানুষের চোখে নেমেছিল অশ্রুর বন্যা। কেউ কেউ বলেছিল—

 “আমরা শুধু একজন জনপ্রতিনিধি হারাইনি, আমাদের ছায়া হারিয়েছি…”কিন্তু সেই গল্প এখানে থেমে যায়নি।কারণ এই পরিবারের রক্তে সেবা উত্তরাধিকার।

খলিল সরদারের সন্তানরা—চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর হয়ে একই পথে মানুষের হাত ধরে রেখেছেন। আর এখন এই উত্তরাধিকার বহন করছেন তাঁর নাতি—যার শরীরে শুধু সেই রক্ত নয়, সেই মানুষের সেবা করার শিক্ষা।

নিজ এলাকা ঘুরে যখন তিনি মানুষের মুখে দাদার নাম শোনেন—চোখ দু’টি ঝাপসা হয়ে আসে, কণ্ঠ ভারী হয়ে পড়ে।

তিনি থেমে বলেন— “আমি যখন হাজারীবাগের কোনো গলিতে হাঁটি… মনে হয় এই ইট, এই দেয়াল, এই বাতাস… সব যেন আমার দাদার ভালোবাসার সাক্ষী। মানুষের মুখে যখন শুনি—‘তোমার দাদা আমাদের জন্য রাতের ঘুম হারাম করেছেন’, তখন গর্বে বুক ভরে যায়… আবার ভয় পাই—আমি কি পারবো তাঁর মতো মানুষ হতে?”

তিনি রাজনীতিক হতে আসেননি—এ কথা বহুবার বলেও থামেন না।

একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ও ডাক্তার রেজা ফয়সাল তার বক্তব্যে বলেন  > “আমার দাদা কোনোদিন ক্ষমতার জন্য মানুষের দরজায় যাননি—মানুষের কষ্টের জন্য গেছেন। আমি তাঁর নাতি হয়ে যদি মানুষের জন্য না বাঁচি—তাহলে আমার রক্ত, আমার বংশধারা—দুটোই ব্যর্থ।”

তার চোখে অশ্রু চিকচিক করে—

> “আমাকে নেতা ডাকার আগে মানুষ ডাকে—খলিল সরদারের নাতি… এই পরিচয়ই আমার সবচেয়ে বড় অর্জন। ক্ষমতা নয়, মানুষের ভালোবাসাই আমার আসল শক্তি।”

তিনি প্রতিশ্রুতি দেন—২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটি মানুষের দরজায় পৌঁছবে ভালোবাসা, মানবিকতা, সম্মান ও সেবার ছোঁয়া।

যে ঘরে কষ্ট, সেখানে তিনি সান্ত্বনা হয়ে দাঁড়াবেন—এটাই তাঁর অঙ্গীকার।

শেষে তিনি হাত তুলে দোয়া চান—

> “আমার দাদা, বাবা, চাচাদের মতো যেন আমিও মানুষের দোয়া নিয়ে, মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে রেখে একদিন চোখ বন্ধ করতে পারি… ক্ষমতা নয়—মানুষের ভালোবাসা নিয়ে।”

আজ হাজারীবাগবাসীর একটাই আশা—যে পরিবার মানুষের চোখের পানি মুছে দিয়েছে, সেই পরিবারের নতুন প্রজন্ম আবার ফিরিয়ে আনবে মানবতার সোনালি সেই দিনগুলো

আপনার মতামত লিখুন

ওপেন নিউজ ২৪

বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫


হাজারীবাগের বুকজুড়ে আজও বেঁচে আছে একটি নাম—খলিল সরদার।

প্রকাশের তারিখ : ১১ নভেম্বর ২০২৫

featured Image
হাজারীবাগের বুকজুড়ে আজও বেঁচে আছে এক নাম—খলিল সরদার। কখনও কোনো নেতা, কোনো প্রতিনিধি, কোনো ক্ষমতাধর নয়—হাজারীবাগ তাঁকে চিনত নিজ মানুষের মতো।যিনি মসজিদের ইমাম থেকে গরিব রিকশাওয়ালা—সবাইকে নাম ধরে চিনতেন, পাশে দাঁড়াতেন—তিনি খলিল সরদার।হাজারীবাগের এক প্রবীণ বৃদ্ধ আজও চোখের কোনায় পানি এনে বলেন— “বাবা, তোমার দাদা ছিলেন এমন মানুষ—যে কারো ঘরে রাতের খাবার নাই শুনলে নিজের হাতের ভাত নিজে না খেয়ে অন্যকে খাইয়ে দিতেন…”রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে বসা এক অটোরিকশা চালক যোগ করেন— “সরদার সাহেব ছিলেন নেতা না—নিজের মানুষ। রাত ২টা হলেও দরজায় কড়া নিলে বলতেন, ‘সমস্যা কী, বাবা?’—এমন নেতা আর জন্মাবে?”এই মানুষটির পরিচয়ে হাজারীবাগ বদলে গেছে। তিনি ছিলেন সরদার, তারপর চেয়ারম্যান—কিন্তু ক্ষমতার চেয়ারে বসে নয়, মানুষের হৃদয়ে বসে নেতৃত্ব দিয়েছেন।হাজারীবাগে হাসপাতালের জায়গা দান, প্রথম পানি ট্যাংক স্থাপন, স্কুল-মন্দির-মসজিদ-কলেজ নির্মাণ, সিটি কলোনি গড়ে তোলা—এগুলো কেবল উন্নয়ন নয়, মানুষের প্রাণভরা সেবা।যেদিন তিনি মারা গেলেন—হাজারীবাগে শুধু পতাকা নামেনি… মানুষের চোখে নেমেছিল অশ্রুর বন্যা। কেউ কেউ বলেছিল— “আমরা শুধু একজন জনপ্রতিনিধি হারাইনি, আমাদের ছায়া হারিয়েছি…”কিন্তু সেই গল্প এখানে থেমে যায়নি।কারণ এই পরিবারের রক্তে সেবা উত্তরাধিকার।খলিল সরদারের সন্তানরা—চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর হয়ে একই পথে মানুষের হাত ধরে রেখেছেন। আর এখন এই উত্তরাধিকার বহন করছেন তাঁর নাতি—যার শরীরে শুধু সেই রক্ত নয়, সেই মানুষের সেবা করার শিক্ষা।নিজ এলাকা ঘুরে যখন তিনি মানুষের মুখে দাদার নাম শোনেন—চোখ দু’টি ঝাপসা হয়ে আসে, কণ্ঠ ভারী হয়ে পড়ে।তিনি থেমে বলেন— “আমি যখন হাজারীবাগের কোনো গলিতে হাঁটি… মনে হয় এই ইট, এই দেয়াল, এই বাতাস… সব যেন আমার দাদার ভালোবাসার সাক্ষী। মানুষের মুখে যখন শুনি—‘তোমার দাদা আমাদের জন্য রাতের ঘুম হারাম করেছেন’, তখন গর্বে বুক ভরে যায়… আবার ভয় পাই—আমি কি পারবো তাঁর মতো মানুষ হতে?”তিনি রাজনীতিক হতে আসেননি—এ কথা বহুবার বলেও থামেন না।একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ও ডাক্তার রেজা ফয়সাল তার বক্তব্যে বলেন  > “আমার দাদা কোনোদিন ক্ষমতার জন্য মানুষের দরজায় যাননি—মানুষের কষ্টের জন্য গেছেন। আমি তাঁর নাতি হয়ে যদি মানুষের জন্য না বাঁচি—তাহলে আমার রক্ত, আমার বংশধারা—দুটোই ব্যর্থ।”তার চোখে অশ্রু চিকচিক করে—> “আমাকে নেতা ডাকার আগে মানুষ ডাকে—খলিল সরদারের নাতি… এই পরিচয়ই আমার সবচেয়ে বড় অর্জন। ক্ষমতা নয়, মানুষের ভালোবাসাই আমার আসল শক্তি।”তিনি প্রতিশ্রুতি দেন—২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটি মানুষের দরজায় পৌঁছবে ভালোবাসা, মানবিকতা, সম্মান ও সেবার ছোঁয়া।যে ঘরে কষ্ট, সেখানে তিনি সান্ত্বনা হয়ে দাঁড়াবেন—এটাই তাঁর অঙ্গীকার।শেষে তিনি হাত তুলে দোয়া চান—> “আমার দাদা, বাবা, চাচাদের মতো যেন আমিও মানুষের দোয়া নিয়ে, মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে রেখে একদিন চোখ বন্ধ করতে পারি… ক্ষমতা নয়—মানুষের ভালোবাসা নিয়ে।”আজ হাজারীবাগবাসীর একটাই আশা—যে পরিবার মানুষের চোখের পানি মুছে দিয়েছে, সেই পরিবারের নতুন প্রজন্ম আবার ফিরিয়ে আনবে মানবতার সোনালি সেই দিনগুলো

ওপেন নিউজ ২৪

সম্পাদক ও প্রকাশক ঃ মোস্তফা কামাল 

কপিরাইট © ২০২৫ ওপেন নিউজ ২৪ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত