দলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন নারী অধিকারকর্মী রাশি রায় চৌধুরী এবং মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রগতিশীল সংগঠক সাইদুর ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে আবুজর শিশির বলেন,
“বাংলাদেশের রাজনীতি এক সময় আদর্শ, সংগ্রাম ও মানুষের অধিকারকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতো। এখন তা হয়ে উঠেছে কেবল ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের লড়াই। আমরা চাই সেই রাজনীতিকে ফিরিয়ে আনতে—যেখানে মানুষ, মত, বিবেক এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন থাকবে।”
তিনি আরও জানান, পিএনসি চারটি মূল দর্শনের ভিত্তিতে গড়ে উঠছে—
আদর্শ: রাজনীতিকে ক্ষমতার কৌশল নয়, নীতিনিষ্ঠ চিন্তার মাঠে পরিণত করা।
সমাজতন্ত্র: সমান অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করা।
জনবাদ: জনগণকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা।
প্রগতিশীলতা: ধর্মনিরপেক্ষতা, বিজ্ঞানমনস্কতা, নারীর অধিকার, পরিবেশ ও সংস্কৃতির বিকাশ।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান রাশি রায় চৌধুরী বলেন,
“বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর ভূমিকা কাঠামোগতভাবে সীমিত। আমরা সেই বাধা ভাঙতে চাই। নেতৃত্বে নারীর সমান অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
মহাসচিব সাইদুর ইসলাম জানান,
“আমরা শুধু ভোটের রাজনীতি চাই না। জনগণকে ভোটার হিসেবে নয়, বরং সিদ্ধান্তের অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের সংগ্রাম।”
বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় নতুন দল গঠনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। তবে প্রগতিশীল জাতীয় কংগ্রেস নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে—তারা বিকল্প নয়, বরং ‘ভিন্নতর’ হতে চায়।
দলের ভাষায়,
“আমরা এক নতুন রাজনৈতিক বিবেকের সন্ধান করছি, যেখানে রাজনীতি হবে চিন্তার, ন্যায়ের ও ভবিষ্যতের।”
সংগঠনটির দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য—তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তোলা, রাজনৈতিক শিক্ষার সংস্কৃতি তৈরি করা, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠন এবং নীতিনিষ্ঠ বিরোধী রাজনীতির চর্চা করা। প্রাথমিকভাবে তারা মাঠ পর্যায়ে সংগঠন বিস্তার ও জনসংলাপ তৈরির দিকে মনোযোগ দেবে।

শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫

আপনার মতামত লিখুন