ওপেন নিউজ ২৪

নাসির আহমেদ

নাসির আহমেদ


যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী আদেশ: কাতারের নিরাপত্তায় ওয়াশিংটনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

গত মাসে ইসরায়েলের এক বিমান হামলার পর কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা দেবে বলে এক নির্বাহী আদেশে ঘোষণা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষরিত এ আদেশে কাতারের ওপর যেকোনো বহিরাগত হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।বুধবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, "বহিরাগত আক্রমণ থেকে কাতারের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করা যুক্তরাষ্ট্রের নীতি।"আদেশে কাতারকে যুক্তরাষ্ট্রের 'অটল মিত্র' হিসেবে আখ্যায়িত করে দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, "কাতারের ভূখণ্ড, সার্বভৌমত্ব বা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর যেকোনো সশস্ত্র আক্রমণকে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।"নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, এই ধরনের আক্রমণের মুখোমুখি হলে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের স্বার্থ রক্ষা এবং শান্তি-স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রয়োজনে সামরিকসহ সকল আইনগত ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।গত মাসে দোহায় ইসরায়েলের বিমান হামলার পর কূটনৈতিক ক্ষতি মেরামতের প্রচেষ্টা হিসেবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার কাতারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ ফোন আলোচনায় এই ক্ষমা গ্রহণ করেন।হামলার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কাতার সফর করে两国 নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি তখন বলেন, তার দেশ 'সার্বভৌমত্ব রক্ষা及ভবিষ্যত আক্রমণ প্রতিরোধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ'।এই প্রেক্ষাপটেই ট্রাম্প কাতারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা অঙ্গীকারের একটি স্পষ্ট অভিব্যক্তি।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী আদেশ: কাতারের নিরাপত্তায় ওয়াশিংটনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত