পুলিশ কনস্টেবল মোঃ আব্দুর রহমানের (৩৬) প্রেমের ফাঁদে পড়ে এক নারীর সর্বস্ব হারানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও প্রায় নয় লাখ টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোছাঃ তুলি রানী।লিখিত বক্তব্যে তুলি রানী জানান, তিনি কয়েক বছর আগে তালাকপ্রাপ্ত হয়ে সাভারের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করছিলেন। সেই সময়ে পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রহমানের সঙ্গে পরিচয় হয়। প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও পরে তিনি বিভিন্ন কৌশলে ঘনিষ্ঠ হন এবং বিয়ের আশ্বাসে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।অভিযোগে বলা হয়, আব্দুর রহমান বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক চালিয়ে যান। একপর্যায়ে তিনি পর্যায়ক্রমে প্রায় নয় লাখ টাকার বেশি অর্থ হাতিয়ে নেন।সবশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর আব্দুর রহমান বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বাঁশহাটা গ্রামে তুলির বাবার বাড়িতে গিয়ে আবারও ধর্ষণ করেন। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি আর কোনো যোগাযোগ রাখেননি।তুলি রানী আরও জানান, বিষয়টি জানাতে গেলে আব্দুর রহমানের পরিবার ঘটনাটি প্রকাশ না করতে নিষেধ করে এবং বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ফেরত পাঠায়। কিন্তু অভিযুক্ত কনস্টেবল এরই মধ্যে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন এবং এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছেন।সংবাদ সম্মেলনে তুলি রানী অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।