মো:আমিনুল ইসলাম ||
রংপুরের তারাগঞ্জ থানার আলোচিত জাবেদ আলী হত্যা মামলায় রহস্য উদঘাটন করে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ, রংপুর।রংপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মারুফাত হুসাইন মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় ও সরাসরি তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল), রংপুর এর সার্বিক সহযোগিতায়, জেলা পুলিশ, রংপুর এর বিভিন্ন ইউনিট ও তারাগঞ্জ থানা পুলিশ ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য মাঠে নামে এবং রংপুর জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিম ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি. তারাগঞ্জ থানার মামলা নং-০৫ তারিখ-২৪/১২/২০২৫ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ মূলে তদন্তে প্রাপ্ত মূল অভিযুক্ত ০১। মোঃ আব্দুল হামিদ (৬৯), পিতা-মৃত নেজাম উদ্দিন, মাতা-মৃত অবিরন নেছা, সাং-লক্ষনপুর (চরকডাঙ্গা ডাঙ্গাপাড়া), (ডাকঘর-লক্ষনপুর-৫৩১০), থানা-সৈয়দপুর, জেলা-নীলফামারীকে ২৬/১২/২০২৫ তারিখ রাত্রী অনুমান ০৩:৩০ ঘটিকার সময় সৈয়দপুর থানা এলাকায় আসামির ভাড়া বাসা হইতে অভিযান পরিচালনা করে মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য প্রমান পাওয়ায় গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য অভিযানকালে হত্যাকান্ডের ঘটনায় অত্র মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে একটি ধারালো দা, একটি মোবাইল ও একটি চাদর উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।উল্লেখ্য ডিসিস্ট জাবেদ আলী কবিরাজি পেশার পাশাপাশি রাতের বেলা পাখি শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ২৪/১২/২৫ তারিখ তার লাশ তারাগঞ্জ থানাধীন ডালিয়া ক্যানেলের পাশে গলা কাটা অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাটি ছিল রহস্যজনক, চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস। উল্লেখ্য পুলিশ সুপার, রংপুর মহোদয়, রংপুর জেলা পুলিশে যোগদান করার পর তারাগঞ্জ থানা এলাকায় আরও একটি আলোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল, যার দ্রুত রহস্য উদঘাটন পূর্বক মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছিলেন তিনি তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে। এটি শুধু তারাগঞ্জ থানা এলাকাতেই এই মাসের জেলা পুলিশের দ্বিতীয় বড় সাফল্য। এদিকে মামলার ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তকে পুলিশ স্কটসহ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। অভিযুক্ত খুনের দায় স্বীকার করেছে, মামলাটি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করা হবে।