মোঃ মনিরুজ্জামান মুন্না || পাবনায়  ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মামলার  আসামীদের রক্ষায় সক্রিয়   একটি মহল ।  মামলা তুলে  নিতে বাদীর পরিবারকে  নানা রকমের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে  থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে ভুক্তভোগীরা । প্রকাশ  গত  ১৫ নভেম্বর  রওসান ফেরদৌস হাফসা  নিখোঁজ হন  এবং রাত আটটার দিকে তার মৃতদেহ পাওয়া যায় বাড়ির পাশের একটি জঙ্গলে ।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন  হাফসাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে । নিহত  হাফসা  মালঞ্চি ইউনিয়নের  পারগোবিন্দপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয়  লিটিল স্টার ইন্টারন্যাশনাল  স্কুলের   দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী । এ ব্যাপারে নিহত  হাফসার মা  ঋতু খাতুন  ৩ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা  কয়েকজনকে আসামী করে পাবনা সদর থানায়  একটি হত্যা মামলা দায়ের করে । এ  ঘটনার প্রতিবাদে নিহত হাফসার স্বজনসহ ছাত্র-জনতা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল  করেন এবং দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান।  পাবনা সদর থানা পুলিশ  ধর্ষণ ও হত্যাকান্ড ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে  তিনজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে  প্রেরণ করেন।  উল্লেখ্য   এজাহার নামীয় আসামীরা এলাকার স্থানীয় বিএনপি নেতা  আইয়ুব আলী সরদারের আত্মীয় হওয়ায় মামলাটি বাঁধাগ্রস্ত করতে  নানা রকম ভাবে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ  ভুক্তভোগী পরিবারের । এদিকে এই হত্যাকান্ড ঘটনার  সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত  ঘরে ফিরবে না ছাত্র জনতা  এমন হুঁশিয়ারি  পাবনা সমন্বয়কদের ।  সমন্বয়কের সিনিয়র যুগ্ন সদস্য সচিব জাতীয় জনশক্তি পাবনা জেলা শাখার সুমাইয়া হাসান পুষ্পিতা এই প্রতিনিধিকে জানান নিহত শিশু হাফসা খুনের ঘটনায়  ন্যায় বিচারের  দাবিতে   আমরা  বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন  করছি এটাই আমাদের অপরাধ ।  স্থানীয় বিএনপি নেতা  আইয়ুব আলী সরদার  আমাকে হাজার হাজার লোকের  সামনে হত্যার হুমকি দিয়েছে । আমি পাবনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি  যার নাম্বার ১৩৫৫  তারিখ  ১৯ নভেম্বর  ২০২৫ । এ ব্যাপারে  স্থানীয় বিএনপি নেতা  আইয়ুব আলী সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে  তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি ।  এ ব্যাপারে  পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  আব্দুস সালাম জানান  মামলার আসামি তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ।  আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে ।