ইনফরমেশন মিডিয়া ||
বিকেল থেকে পাবনা সদর থানা পুলিশের উদ্যোগে বিশেষ অভিযান চলছে রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে নিস্তব্ধ হয়ে যাওয়া শহর যেন হঠাৎই জেগে উঠেছে নীল-লাল বাতির ঝলকানিতে। কারও মুখে ক্লান্তি, কারও চোখে দৃঢ়তা—তবুও তারা থামেনি।শহরের প্রতিটি মোড়ে, চেকপোস্টে, গলিতে দাঁড়িয়ে আছে একদল মানুষ—তাদের পোশাকে লেখা “পুলিশ”, কিন্তু কাজের ভেতরে লুকিয়ে আছে এক অন্য রকম মানবিক দায়িত্ব।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা ঠেকাতে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর ২০২৫) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পাবনা সদর থানা পুলিশ শুরু করে বিশেষ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান।এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম । সার্বিক দিকনির্দেশনা দেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোরতোজা আলী খাঁন।ওসি আব্দুস সালাম বলেন,> “আমাদের দায়িত্ব জনগণের পাশে থাকা।কেউ যেন ভয়ের মধ্যে না থাকে—এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”তার এই কথা যেন মাঠে থাকা পুলিশ সদস্যদের মুখে দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল। শহরের দোগাছি মোড়, গোপালপুর রোড, রাধানগর, মন্ডলপাড়া—সব জায়গায় টহল দল ব্যস্ত ছিল যানবাহন তল্লাশিতে।কোথাও আলোর ঝলকানি, কোথাও আবার ঠান্ডা বাতাসে নিঃশব্দ পদচারণা।এই অভিযানে অংশ নেয় ট্রাফিক পুলিশ, ডিবি, পেট্রোল টিমসহ বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা।তারা কেউ থেমে নেই—কেউ পাহারায়, কেউ চেকপোস্টে, কেউ বা জনগণের নিরাপত্তায় নিরব যুদ্ধ লড়ছেন নীরবে।জেলা পুলিশ জানায়, রাতজুড়ে এ অভিযান চলবে। সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলাকারীদের চিহ্নিত করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ব্যাংক, বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।পাবনা শহরের এক দোকানদার বলেন,> “আজ রাতে দোকান বন্ধ করে যেতে ভয় লাগেনি। রাস্তার মোড়ে পুলিশদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি—তারা যেন শহরের রাত্রি প্রহরী।”এই দৃশ্যই যেন বলে দেয়—জনগণের নিরাপত্তায় পুলিশ শুধু ইউনিফর্ম পরা একটি বাহিনী নয়,তারা হলো রাত্রির আলো, শান্তির প্রতীক, নিরাপত্তার অবিচ্ছেদ্য ছায়া।