ইনফরমেশন মিডিয়া ||
স্কুল—যেখানে শিশুদের নিরাপত্তা, মায়া আর শিক্ষার পরিবেশ থাকার কথা; সেখানেই ঘটে গেল হৃদয়বিদারক ঘটনা। সামান্য চুল কাটার জের ধরেই সহপাঠীদের সামনে বেধরক মারধরের শিকার হলো সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তাওহিদ হোসেন (১৪)। তাওহিদের চোখে এখনো আতঙ্ক, বুকভরা কষ্ট—“স্যার কেন এমন করলো?” বুঝে উঠতে পারছে না সে।পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিলাল হোসেনের বিরুদ্ধে এই নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের পর মাথা ঘোরা, বমি ও শারীরিক ব্যথায় কাতর তাওহিদকে দ্রুত সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এখনও চিকিৎসাধীন সে।চরতারাপুর বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের দিনমজুর বাবুল হোসেনের একমাত্র ছেলে তাওহিদ। আর্থিক কষ্টের মধ্যেও ছেলেকে মানুষ করার স্বপ্ন দেখেন বাবা-মা। কিন্তু শিক্ষকের কঠোর নির্যাতনে ভেঙে গেছে সেই স্বপ্নের হাসি।ঘটনার পরমানবিক কণ্ঠে বাবুল হোসেন বলেন—“আমার ছেলেটাকে এমনভাবে পিটিয়েছে… আমি দেখে কাঁদে ফেলেছি। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলচে দাগ। মাথা ঘোরা, বমি থামছে না। আমি বিচার চাই, যেন আর কোনো মায়ের বুক এভাবে ভেঙে না যায়।”মা মুক্তা আক্তারের চোখে অশ্রু—“স্কুলে পাঠাই, মানুষ হবে বলে। কিন্তু আজ স্কুল থেকেই ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিতে হলো। এই কষ্ট কোনো মা সহ্য করতে পারে?তাওহিদের মা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন—“আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হবে এবং দোষী প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শিশুকে শিক্ষা দেওয়ার কথা ছিল যে শিক্ষক—তাঁর হাতেই যখন শিক্ষার্থী আহত হয়—তখন প্রশ্ন জাগে:বিদ্যালয় কি আজও শিশুদের জন্য নিরাপদ?