নড়াইল প্রতিনিধি ||
ডেন্টাল ক্লিনিক করার নামে নড়াইলের মির্জাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মো. বেনজির হোসেনের কাছ থেকে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যশোরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের দন্ত চিকিৎসক আঁখি তারা ও মিলন কবিরের বিরুদ্ধে।শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকালে নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর বাজারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বেনজির হোসেন।অভিযোগ সুত্রে যানা গেছে, দাঁতের সমস্যা নিয়ে বেনজির গত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে যশোরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের দন্ত চিকিৎসক আঁখি তারার চেম্বারে যান। সেখান থেকে আঁখির সাথে পরিচয় হয় বেনজিরের।আঁখি যখন জানতে পারেন বেনজির এক জন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।তখন আঁখি বেগম বেনজিরকে যৌথভাবে একটি ডেন্টাল ক্লিনিক করতে উৎসাহিত করেন। তার কথায় প্ররোচিত হয়ে ক্লিনিক করার জন্যে কয়েক দফায় জমি বিক্রি করে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। টাকা দেওয়ার ২ বছর পার হলে ও ক্লিনিক করতে না পারায় বেনজির তার পাওয়না টাকা ফেরত চান।তখন আঁখি বেনজিরকে তার যশোর ঘোপ সেন্টার রোড বাড়িতে ডেকে নেন।বাড়িতে নিয়ে তার নিজ নামীয় ডাচ বাংলা ব্যাংকের ১ কোটি ৫ লাখ টাকার দুইটি চেক দেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন, ২০২৪ সালের ৭ ডিসেম্বর বেনজিরের পাওনা টাকা ফেরত দিবেন। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বেনজির তার পাওনা টাকা চাইলে আঁখি উল্টো তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, আমার অনেক রোগী পুলিশ কর্মকর্তা। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আপনাকে মামলায় ফাঁসানো হবে।হঠাৎ ২৫ সালের ২ জুন বেনজিররে নিজ বাড়ি মির্জাপুর থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে পুলিশ বেনজিরকে আটক করে।আটকের পরের দিন তাকে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দিয়ে জেলা হাজতে পাঠান।বেনজিরকে আটক করিয়া থানাতে রেখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অনেক টাকা ঘুষ চান। বেনজির ঘুষ দিতে না চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা শারীরিকভাবে বেনজিরকে অনেক আঘাত করেন। এর পর বেনজির যশোর কারাগারে থাকাকালীন চৌগাছার মিলন কবির ও যশোর পুলিশ লাইন এলাকার মফিজুর রহমান বেনজিরের গ্রামের বাড়িতে এসে তার বৃদ্ধ মা ও স্ত্রীকে অস্ত্র দেখিয়ে আঁখির দেওয়া চেক ফেরত দিতে বলেন।প্রান বাঁচাতে তার পরিবারের সদস্যরা চেক দুটি মিলন ও মফিজের কাছে ফেরত দেন। পরে বেনজিরের ছোট ভাই জোবায়েরকে মিথ্যা মামলা ভয়ভীতি দিয়ে তার একাউন্টের মাধ্যমে আইএফআইসি গোবরা উপ-শাখা থেকে ১৬লাখ টাকা নেন । বেনজিরের নামে করা আঁখির মামলা পুলিশ দিয়ে মিমাংসার কথা বলে এবং বেনজিরের পাওনা টাকা আঁখির নিকট থেকে ফেরত এনে দিবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যশোর ডেকে নিয়ে ৭ লাখ টাকা নগত নেন মিলন কবির।শুধু তাই নয় বেনজিরের বৃদ্ধ মা ও ভাই জুবায়ের-এর নিকট হতে বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে দুইটি চেক নেন এবং জোর করে মামলা মিমাংসার কথা বলে স্টাম্পে বেনজিরের স্ত্রী সাথী আক্তার ও ভাই জুবায়ের-এর নিকট হতে স্বাক্ষর নেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বেনজির জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর মা ও ভাইয়ের কাছ থেকে নেওয়া চেক ফেরত চাইলে তা ফেরত না দিয়ে মিলন কবির অমিত ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়া মিথ্যা মামলা সহ অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষয় ক্ষতি করবে এমন হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছেন।ব্যবসায়ী বেনজির হোসেনের পাওনা টাকায় চেকের বিষয়ে দন্ত চিকিৎসক আঁখি তারার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং বলেন মামলা মিমাংসা করব পাওনা টাকা ও ফেরত দিব। অপর অভিযুক্ত মিলন কবিরের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে দেওয়া টাকার অর্ধেক অংশ তদন্ত কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।একটি ফোন রেকর্ডে মাধ্যম জানাগেছে,আঁখি তারা কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেনজিরের ভাই জুবায়ের-এর নিটক হতে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়েছেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা, চৌগাছা মিলন কবিরের অপকর্মের বিষয়গুলো অডিও রেকর্ড এর মাধ্যমে প্রমাণিত।