নিজস্ব প্রতিবেদন ||
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসক, মেডিকেল অফিসার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তা প্রহরীসহ বিভিন্ন পদে ৫০টি পদ এখনো শূন্য রয়েছে। হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার ৭ বছরে নিয়োগ দেওয়া হয়নি প্রয়োজনীয় জনবলও। সরেজমিন দেখা যায়, হাসপতালের শয্যা সংখ্যা বাড়লেও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হয়নি। নেই হাসপাতালের আধুনিক ভবন, শয্যা, জেনারেটর, পানির ট্যাংকি, চিকিৎসা সরঞ্জাম, পর্যাপ্ত ওষুধ, নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ রোগী ও দর্শনার্থীরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ে ছড়িয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা। সিঁড়ি থেকে শুরু করে ওয়ার্ড ও জানালার পাশে জমে আছে পলিথিন, পরিত্যক্ত খাবার, ব্যবহৃত সিরিঞ্জসহ নানা আবর্জনা। এসব ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় রোগী, স্বজন ও নার্সরাই জানালা দিয়ে বাইরে ফেলছেন। ফলে নিচে তৈরি হয়েছে ময়লার ভাগাড়। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে হাসপাতালজুড়ে। জরাজীর্ণ ভবনের ছাদ দিয়ে পড়ছে বৃষ্টির পানি, ধসে পড়ছে পলোস্তার। চিকিৎসক সংকটের কারণে হাসপাতালের বহির্বিভাগ চালাচ্ছেন উপসহকারী মেডিকেল অফিসাররা। হাসপাতালের যথাযথ সেবা না পেয়ে অধিকাংশ রোগী চলে যাচ্ছেন স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। এ ছাড়া হাসপাতালে গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়ার অভাবে দীর্ঘদিন ধরে। হাসপাতালটিতে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে টাকা দিয়ে অপারেশন করাচ্ছেন।